Wednesday 18 April 2018

বাংলা ।। নবপর্যায়-৫৯১ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা- ৪ । ।।১৮-০৪-২০১৮ । মৌসুমী রায় ঘোষ-এর তিনটি কবিতা ।

মৌসুমী রায় ঘোষ
মোব:- ৮৬৯৭৪৮৩১২১
পি- ৬২, কালিন্দী হাউসিং স্কীম,
কলকাতা-৮৯




পরমায়ু ক্ষুধা
কাজল তার চোখ ছুঁতে পেরেছিলো।
পারানির কড়ি আদায়ের সময় দৃষ্টির সাথে ছিলো বিরোধ।
কারনটা ঢেউ আর নৌকার দুলুনিতেই সীমাবদ্ধ থাকায়,
নতুন ফরমুলার ফিতে কেটে গেছে মাঝ রাস্তাতেই।
তাই রাতের গহ্বরে যখন পেঁচা ডাকে
আমি আর ঘরের বাইরে পা রাখি না।
উড়ন্ত গোধুলীর জলজিরাচুর্ণ ধুলোয় পরমায়ু বৃদ্ধির আশা।
আর তাতেই তাক লাগিয়ে দেয় উচাটন।
ভৈরবীর সুরে যখন ষোড়শ সঙ্গীত বেজেছিলো
তখন কিন্তু পাওয়া যায়নি কোন ইঙ্গিত।
নহবতে সানাইয়ের সুরে ভিয়েনের গন্ধ চাগিয়ে দেয় খিদে।


অ_চুম্বন ভালোবাসা
চুম্বন গড়িয়ে নামে নাভী ঢাল বেয়ে।
কস্তুরীগন্ধে ভরপুর সন্ধ্যেগুলো
আবছা ছুঁয়ে যায় রাতকুন্ডলী।
যেখানে একতারা খসেছিলো
খোলা মেলা এলো চুলে।
সেই কেশকালিমায় মুখ ঢেকে জ্বলছে শুকতারা। সমুদ্রের নোনতা, হাত ধরতে চায় চাঁদের।
তাই বালুচরে নিরন্তর মাথা কোটা অহংকার
ভাসিয়ে আনে জলপরি।
তাদের লেজের ঝাপটায় সুর তোলে
কোমলগান্ধার।
তানপুরার তারে দোল খেতে খেতে
জলপরি খেলা করে।
আমি দেখেছিলাম এক সাগরনীল যুবক।
পরনে ঝিনুকবাস।
তার বাঁশির পাল তোলায়
পৃথিবীর বুকে আছড়ে পরতো জ্যোৎস্না।
সেই বংশীযুবক আজ একা সমুদ্রে ঢেউ গোনে।
দুরের কোনো দ্বীপের মাঝে
এক রাতজাগা পাখীর আর্তনাদ
ক্ষীণস্বরে ভেসে যায় বাতাসে।


চরিত্রশৃঙখল
আমার মধ্যে এক টিনেজার।
মৃত্যুশয্যায় সে কিতকিত খেলে।
নিমবীর্যের নীচে শানিত অন্ধকারে প্রদীপ
জলন্ত অন্ধকার বিলোয়।
যুগাতিযুগ ধরে চলে সেই বিতরন।
পা যখন শক্ত হয়ে মাটি আঁকড়ে থাকে।
শিকড় পৌঁছে যায় অনেক গভীরে।
নাভিমুল জড়িয়ে ধরে প্রাণপনে আর
মেলে ধরে এক কুয়াশা ঘেরা গল্পের চাট।
নানা রকমারি লালারসে জারিত হয়ে ভেঙে যায়
বিভিন্ন শাখা প্রশাখায়।
এগিয়ে চলে প্রান্তর সমুদ্রের দিকে।
এ হেন অবস্থায় মহাকাব্যের চরিত্ররা রুপ নেয়
বিশালাকৃতি চরিত্রশৃঙ্খল।
আঙুলে জড়িয়ে থাকে ধুলোক্ষন।
                   ~~~~~~~~~~

No comments:

Post a Comment

1a

আজকের কবিতা  সোনালি মাছের চোখ অপাংশু দেবনাথ ------------------------ বাজার  ফেরৎ আমি,পুনশ্চ  ঢুকে পড়ি বাজারে।             ...