Wednesday 15 August 2018

1a


আজকের কবিতা 


সোনালি মাছের চোখ

অপাংশু দেবনাথ
------------------------
বাজার  ফেরৎ আমি,পুনশ্চ  ঢুকে পড়ি বাজারে।
                                 এখানে সবুজ সব।
মাথার কাছে অরণ্য রাখি বিশ্বস্ত বিনয়ে।
ভিড় কমে এলে কিছু পণ্য 
       পড়ে থাকে ফুটপাথে,
তখন কি মনে পড়ে ঘুমোবার আগে।

জলতলে একা জেগে থাকে
                         সোনালি মাছের চোখ
তুমি পাটকাঠি বেঁধে ফেলো সুতোছিপ।
জলে ভেসে উঠে চাঁদ,
             নক্ষত্রমন্ডল।

এই বাজার থেকে আমার,ঘরে ফেরা হয়ে উঠে কই! 
                                         নক্ষত্রমন্ডল ডুবে গেলে 
জলে পাঠকাঠি নড়ে উঠে
সবুজ হয়ে উঠে তোমার ছিপ,সুতোজল।
                    আমি সেই মৎসবালক নই


দাড়িপাল্লার পেন্ডুলাম ও-ছায়া পড়ে বুকের উপর।

Monday 30 April 2018

কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

k.dasthakur88@gmail.com

গ্রাম+পোঃ- কান্দরা
জেলা- পূর্ব বর্ধমান
সূচক:৭১৩১২৯
প্রয়োজনে:৯২৩২৮৩০৭৭৬


অস্তিত্বের মাটি

বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত পাড়ি দিচ্ছে
            মঙ্গল গ্রহে কিংবা চাঁদে
            প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে
শুনছি না কি পৃথিবীর আয়ু ---
ক্রমশ কমছে
আমাদের না কি পৃথিবীর বাইরে
অন্য কোন জায়গা খুঁজতে হবে
কাগজে বেশ মুখোরোচক---
নিরাপদ আশ্রয়:চাঁদে জমি বিক্রি
হঠাৎ চোখটা আটকে গেল
পাশেই লেখা --
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী গৃহ শিক্ষক দ্বারা
ধর্ষিত:অবস্থার অবনতি স্থানান্তর
                         কাগজটা রাখলাম
                 চোখটা ঝাপসা হয়ে এল
একটা ছোট্ট মেয়ে আমার আঙুলটাকে
ধরে নাড়া দিচ্ছে আর বলছে:
"কাকু কাকু আমার জন্য চাঁদে জায়গা
কেনা হবে?"

                  
জলছাপ

ঝুলগুলো ক্রমশ বুকের মধ্যে চেপে বসছে।লিপস্টিকের দাগটা এখনো-- দগদগে  ঘায়ের মতো, দেয়াল জুড়ে নিলজ্জতার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। ইতস্তত বেশ কিছু ধর্ষণের চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আলমারীর বন্ধ লকারে বেশ কিছু ভাঙা চুড়ি,ছেঁড়া ওড়না রাখা।তিলচিটে বালিশ,
তুলো বের হওয়া লালচে তোশকটা তীব্র বিদ্রপে... বাইরে থেকে শেকল তুলে দেশলাই ঘষা হল,ঘরের কোণে আমি---বসে।সেদিন একছাদ বৃষ্টি হল,পেতলের ঘটিটা নিয়ে আমি সিঁড়ি ভাঙছি...
                 

Tuesday 24 April 2018

জ্যোতির্ময় রায়



জ্যোতির্ময় রায় 
গ্রাম :লোহাগঞ্জ 
পোস্ট:কাঁটাবাড়ি 
জেলা:দঃ দিনাজপুর
পিন:733124 

ফোন:7365086640 



#ম্যাগনেটিক ফিভার 

©জ্যোতির্ময় রায় 


    পারদ ছুঁয়েছে ঠোঁট ।
  ফসফরাস জ্বলে উঠে 8.9 রিখটার।
    শিশির ছুঁয়ে এক হেমন্তের সকাল 
    ঝালমুড়ির বিকেল তখন অভ্যাসগত ।
   "ফারাক বিস্তর ,যৌনতার নতিতে " 
কিংবা স্বপ্ন বিক্রি সস্তায় । ইচ্ছে পালক ।
স্বা ধী ন তা ।দত্তকি প্রেম কিনেছে 
     ম হা দে শ ।।
       



#ডেল্টা এক্স 


 ©জ্যোতির্ময় রায় 



0/১ =(₹) 
          প্রশ্ন চিন্হ নেই ।
  এন্ড ক ন টি নি উ স ।




#চোখ এর জানালায় 

©জ্যোতির্ময় রায় 


আজকাল আমিও অনেক বানিয়ে বলি কথা ,
চোখের ভিতর চোখে জল জমেছে ,বৃষ্টি হয়না ।।


ঘুম কিনছে রাত্রি ,উপোসি একাদশী ,
হয়তো তোকে নিয়েই ভাবাটা বাড়াবাড়ি একটু বেশি ।।


এভাবেই হয়তো রাতের মাঝে আমিও হারাবো ঠিক ,
জঠরে কথার যন্ত্রণা ,জমুক তবে ,দেশলাই সেও জ্বালিয়ে নিক ।।

একদিন আমিও কথার মাঝে ফুরাবো কোনো গল্পে ,
চোখের তারায় আলোআধারী'ই থাক আমার দেওয়ালে ।।


দেশ ছেড়েছি ,পায়ের তলায় নেই মাটি 
একখানা আস্ত আকাশ চশমায় এঁটে এখন হাঁটি ।।


Monday 23 April 2018

বাংংলা ৷ দেবযানী বসুর কবিতা

basu.debjani09@gmail.com

আমলকি লক এন কি / দেবযানী বসু

বৃষ্টিজ্বর। অনুকাব্য বাজে একতারায়।কিচাই কিপাই কিনা হাওয়া। নখে একফালি বারান্দার আনন্দ। আ পূর্বক গীতি। ক্রিয়াপদ সাজিয়েছি। জন্মায় অন‍্যকিছু হওয়া। কাঁচের নলে রাসায়নিক প্রেম।
দাঁতে নখ খোঁটা। বাঁকা উলকাঁটায় বোনা শীতের অপরাধ। উলকাঁটায় লাগা আক্ষেপ ঝাড়ফুঁক করি। ব্রোকোলির বাজার রাউন্ড। ঢালাও সিএনজিঘটিত চুম্বন। চুমুর অজ্ঞাতবাস। আমলকিদের মাঠলেগ‍্যাসি।
বুকখোলা মাঠ। লেন্স ফাটানো বরফ। দু খোলা খইফোটা শান্তি। নানচাকঘোরানো শান্তি। ১২৩৪৫৬৭৮ সূর্যপ্রণাম ৮৭৬৫৪৩২১। স্বাহা স্বাহা। আইঅ‍্যামাডিস্কোডান্সার।
অকাতর প্রেম। ম‍্যামথকবিতা। পদধ্বনি অরণ্য ফেরায়। তন্দুরি রোদ্দুর। রোদবোধ গুলোচ্ছি না একটুও। সহজ স্পর্শ । জ্বর ও ঘাম মাপি ঘর্মমিটারে। সব অভিমান মনজংশনে। পালক বিনিময়ে বাঁচি।
আমাদের মিছিলে ডিম ডিম মুখ। স্তুতিভরা ডিমের মাছ। সর্ষেরাগান্বিত যৌনতা। এপিঠ ওপিঠ বৈদ‍্যুতিক কম্বলে সেঁকি। হমদম। হৃদয়ম।

Sunday 22 April 2018

বাংংলা ৷ ২২-০৪-২০১৮ ৷ দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা

দেবার্ঘ সেন
জন্মতারিখ- ১৫/০৯/১৯৯০
জন্মস্থান- শেওড়াফুলি, জেলা- হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ।
ইমেল- debargha90win@gmail.com


(১)

একটি ঘোষণা

যদি কাল বলে কিছু না থাকতো
তবে মৃত্যুভয় থাকতো না।
তবে বাঁচার সচেতনতা থাকতো না...

থাকতো না খিদে।
থাকতো না, কথা বলার ইচ্ছেটুকুও।

কাল আছে  বলেই বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি
জুগিয়ে যায় মন ;
কাল আছে বলেই
ভরসা জন্ম নিয়েছে মা'য়ের কোলে।

কাল আছে বলেই ভয় পেয়েছে
সমগ্র জাতি।
কাল আছে বলেই গবেষক অক্লান্ত পরিশ্রমকে
প্রেম আখ্যায় করেছেন ভূষিত।


যে অর্থে তুমি উচ্চস্বরে দাবী করেছো
কাল নেই বলে...
সেটাও কিন্তু কাল আছে বুঝতে পেরেছো বলেই।

আর বুঝতে পারা থেকেই তো উঠে আসে
স্বীকার বা অস্বীকার বোধ। 

(২)

স্ক্যান

আমার বুকে প্লাস্টিকের প্যাকেট এসে
জড়ো হচ্ছে নর্দমার মত।

নিষ্কাশন সূত্র আবিষ্কৃত ;
কিন্তু প্রয়োগ করার স্বাধীণতা নেই।

তাই,
গলা দিয়ে স্বর না উঠে আসা বক্ষে
ব্যবসা করার আগে -

নিদেনপক্ষে, একবার তো...
রেটিনা স্ক্যান হোক্।
(৩)

আক্ষেপ

আক্ষেপ প্রকার বলে কিছু নেই,
আসলে সবটাই আক্ষেপ।

যখন তুমি এক জিবি নেট ব্যালন্স পেয়ে দিনের শেষে দেখো
মাত্র একশ এমবি ব্যবহার করেছো, তখন আক্ষেপ হয় বাকিটা ব্যবহার করতে না পারার।
আবার যখন দিনের মাঝামাঝি সময় এসে দ্যাখো
মাত্র একশ এমবি পড়ে আছে
তখনও আক্ষেপ হয় এটা ভেবে যে
বাকী দিনটা কিভাবে চলবে।

আসলে সবটাই আক্ষেপ। 

(৪)

সংশোধন সূত্র

এসো,
তুমিও সেই ভুলটাই করো
আমিও যে ভুলটা করলাম।

তারপর দুজন দুজনের ওপর রাগ না করে
যে যার নিজের ওপর রাগ করি।

খুঁজে নি অনুশোচনার বই পড়ে
সংশোধন সূত্র।

সেই সূত্রও যদি অকৃতকার্য হয়,
তবে জেনে রেখো ;
আমরা কোনওদিনও একে অপরকে
এতটুকুও ভালোবাসতে পারিনি।

কেবলই ছু্ঁতো খুঁজেছি
ফাঁকা ঘরের। 




Saturday 21 April 2018

বাংলা ।।নবপর্যায়-৫৯৪ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৭ । ২১-০৪-২০১৮ । শ্যামাপদ মালাকার-এর কবিতা


শ্যামাপদ মালাকার
গ্রা:- চন্দনপুর
পো:- জোড়দা
থানা:- ইন্দপুর
জেলা:- বাঁকুড়া।


চোখ

অন্নপ্রাশনেরর স্বর্ণপিঁড়িটা আজও আছে।
কি নেই আমার-- নদী - অরণ্য - রাতের ফালি চাঁদ, সবেই তো আমার!
সেদিন শুকতারাটার গা মাপতে গিয়ে মনে হল-
'ওরা' কি আমার চেয়েও সুখী?
দেখিনা একবার- মাটিতে গাইতি শাবল চালিয়ে--
চালালাম! জল - মাটি ভেজা একটা চোখ কুড়িয়ে ফিরলাম।
সেই চোখ দিয়ে দেখি--
শেষ বিকেলের নিরন্নআঁচে ঝলসানো বুক নিয়ে নীড়ে ফিরছে- ধূলিমাখা কত কাল পা! - - কি শান্তি! কি তৃষ্ণা!।
পাতাক্ষোয়া ক'টা কোদালের মাথায়, ঝরে পড়া ললাটের ঘামে
কারা যেন জীবন শাণ দেয়- -
রুক্ষঠোঁটের আবরণে এক সময় ঝরে পড়ে শিশিরস্নাত কাল নিশি- - মাঝের ব্যবধান মুছে দেয় প্রতিশ্রুতির ভিড়- -
পূর্বজনমের চেনা নিদর্শনচুম্বন শেষে-
হেরে যায় কার 'মমতাজ' - ম্লান হয়ে কত পিঁড়ি!- - চোখটা কার!!।

Friday 20 April 2018

বাংলা ।।নবপর্যায়-৫৯৩ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৬ । ২০-০৪-২০১৮ । রমলা মুখার্জী র কবিতা

ডঃ রমলা মুখার্জী 
বৈঁচী, বিবেকানন্দ পল্লী, হুগলি ৭১২১৩৪

রমলা মুখার্জী র কবিতা 


কবিতা.. উত্তাপ 
তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে
আমার সব সুখ আবর্তিত হয় ।
আমি পেরিয়ে যাই শ্মশান...
পেরিয়ে যাই মরুঝড়, তুষার...
বিন্দু বিন্দু খুশির পরিধি বেয়ে
উছলে পড়ে আলো,
চুঁইয়ে পড়ে ভালোবাসা ।
চঞ্চলিত হৃদয়ে হাজার ময়ূর নৃত্যরতা....
তোমার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত
অবিরত জ্যোৎস্না ঝরায় চারিপাশে....
তোমার চোখে চোখ রেখে আমি যে
অতল জলের আহ্বান শুনি গো ।
তোমায় অনুক্ষণ পাশে রেখে
আমি মুগ্ধ হতে চাই, পূর্ণ হতে চাই ।
তোমার শরীরের ঘ্রাণে আমি মাতাল হতে চাই....
এসো, প্রেমের প্রদীপ জ্বালিয়ে
দুজনে ‌ উত্তাপ নিই সারাজীবন ।
...................................

Thursday 19 April 2018

বাংলা ।। নবপর্যায়-৫৯২ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৫ । ১৯-০৪-২০১৮ । রাহুল গাঙ্গুলীর সিগন্যাল কবিতা

রাহুল গাঙ্গুলী



১টি রূপক সার্কেল ও তারপর______
-------------------------------------------------------------
[১] ২৭/০১/১৮ ~ দুপুর ২-৪৩

এই মুহূর্তে : ১ মরচেপড়া জাহাজডেকের ভিতর
শরীরের আগাপাছতলা ~ আগাপাছতলা শরীর
ফুটে ওঠা সামুদ্রিক শাঁখ।তারও 'ণ'-সময় আগে
গোলাপি চাঁদ ~ অথবা ~ চাঁদ থেকে গোলাপজল
SIGNAL %%[ ঘুমঘুম।অবশিষ্ট ঘুমচোখ ]%%
মরিচের দ্বীপ থেকে : চিঠি আসে।চিঠি যায়
আলোছায়া অন্তরীপে ~ ভাসমান মোমের ডাকবাক্স



[২] ২৭/০১/১৮ ~ বিকেল ৪-০৪
মুহূর্তগুলোর বিসর্জন।অতএব শুনশান ফেরীঘাট
আজানের খ্যাপলা জালে ~ ধরা পড়ছে মাটি
রহস্যময়ী চূলের ক্লিপ ~ কয়েকটা দশমিকের উধাও
এই যে দেখছো : স্টীমারের ভোঁ।ফেরীঘাট্ ছলাৎ
উ-সমীকরণে ~ দশমিক দিয়ে গড়া রঙিলা নোঙর

SIGNAL @ [ লাল।বাদামী : নুনপোড়া ইঁটের ভাঁটা ]
ছলাৎ স্টিমার ~ ফেরীঘাট ভোঁ : ইশারায় খোলাছাদ

১ম চিলেকোঠা উড়ছে।এরপর ২য়।তারপর ____



[৩] ২৮/০১/১৮।দুপুর ১-২৬

মুহূর্তকাল |পাশাপাশি| রাখলেই ~ সৌরসময় শুরু
START = ঘটছে : সমান্তরাল বিজারণের সমীকরণ
HALT = মুখোমুখি পাহাড় : আশেপাশের উষ্ণতা
STOP = ইথারের বর্ণমালা : সমুদ্র-অসুখের বর্গমূল

SIGNAL [০] ~ SIGNAL [০] ~ SIGNAL [০]
যাবতীয় ছায়াশিকড়ে : সময়ের জলজ আবিষ্কার

মূলরোম : ১টু চুম্বকীয় ফ্যারাডের ক্লান্তিহীন আবেশ



[৪] ২৮/০১/১৮।বিকেল ৬-০৩

১টি নিষ্ক্রিয় দেওয়াল : খুঁটে খাচ্ছে চোরা সমীকরণ
চোরাবালি ~ [এই মুহূর্তের ফসিল সময় : এপিটাফ]
যেকোনো জমাখরচের আগেই বহুচিত্রী রামধনূ

জরায়ুর ভিতরে থাকা শিশু।এসো।নোঙর জ্যামিতি
এসো ~ রাস্তায় নৌকা ভাসাই : মিথেন জারনে

S%I%G%N%A%L% ≠ s%i%g%n%a%l%
http : http → http ^ (2) → এপিসেন্ট্রিক্ মোহনা

নদীগাছের ঝরামূল বর্ষায় থাকছে : ফোটন্ সংকেত



[৫] ০৩/০২/১৮।সকাল ১০-২৮

পরাগরেনু ঝরে যাচ্ছে ~ জাইলেমগত ভূমিকা থেকে
s-i-g-n-a-l =" [গর্ভচক্রে জলীয় বীজের প্রক্রিয়া]
বীজগাণিতিক সম্পাদ্যে ~ এগিয়ে থাকা চুম্বকবেগ
স্পষ্ট ছায়াশরীর।নিঃশর্ত : আলোর সংকেত

মাটি + মহাকাশ + জল + আগুন + বাতাস →
উভচরী গবেষনায় {কেবল ফুল বিষয়ক ট্যানথীটা}

নৌকার দৈর্ঘ্য শেষে অসমাপ্ত নোঙর
S-I-G-N-A-L =" [ভগ্নাবশেষ ~ ঘুমন্ত রেললাইন]


শব্দরূপ : রাহুল

Wednesday 18 April 2018

বাংলা ।। নবপর্যায়-৫৯১ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা- ৪ । ।।১৮-০৪-২০১৮ । মৌসুমী রায় ঘোষ-এর তিনটি কবিতা ।

মৌসুমী রায় ঘোষ
মোব:- ৮৬৯৭৪৮৩১২১
পি- ৬২, কালিন্দী হাউসিং স্কীম,
কলকাতা-৮৯




পরমায়ু ক্ষুধা
কাজল তার চোখ ছুঁতে পেরেছিলো।
পারানির কড়ি আদায়ের সময় দৃষ্টির সাথে ছিলো বিরোধ।
কারনটা ঢেউ আর নৌকার দুলুনিতেই সীমাবদ্ধ থাকায়,
নতুন ফরমুলার ফিতে কেটে গেছে মাঝ রাস্তাতেই।
তাই রাতের গহ্বরে যখন পেঁচা ডাকে
আমি আর ঘরের বাইরে পা রাখি না।
উড়ন্ত গোধুলীর জলজিরাচুর্ণ ধুলোয় পরমায়ু বৃদ্ধির আশা।
আর তাতেই তাক লাগিয়ে দেয় উচাটন।
ভৈরবীর সুরে যখন ষোড়শ সঙ্গীত বেজেছিলো
তখন কিন্তু পাওয়া যায়নি কোন ইঙ্গিত।
নহবতে সানাইয়ের সুরে ভিয়েনের গন্ধ চাগিয়ে দেয় খিদে।


অ_চুম্বন ভালোবাসা
চুম্বন গড়িয়ে নামে নাভী ঢাল বেয়ে।
কস্তুরীগন্ধে ভরপুর সন্ধ্যেগুলো
আবছা ছুঁয়ে যায় রাতকুন্ডলী।
যেখানে একতারা খসেছিলো
খোলা মেলা এলো চুলে।
সেই কেশকালিমায় মুখ ঢেকে জ্বলছে শুকতারা। সমুদ্রের নোনতা, হাত ধরতে চায় চাঁদের।
তাই বালুচরে নিরন্তর মাথা কোটা অহংকার
ভাসিয়ে আনে জলপরি।
তাদের লেজের ঝাপটায় সুর তোলে
কোমলগান্ধার।
তানপুরার তারে দোল খেতে খেতে
জলপরি খেলা করে।
আমি দেখেছিলাম এক সাগরনীল যুবক।
পরনে ঝিনুকবাস।
তার বাঁশির পাল তোলায়
পৃথিবীর বুকে আছড়ে পরতো জ্যোৎস্না।
সেই বংশীযুবক আজ একা সমুদ্রে ঢেউ গোনে।
দুরের কোনো দ্বীপের মাঝে
এক রাতজাগা পাখীর আর্তনাদ
ক্ষীণস্বরে ভেসে যায় বাতাসে।


চরিত্রশৃঙখল
আমার মধ্যে এক টিনেজার।
মৃত্যুশয্যায় সে কিতকিত খেলে।
নিমবীর্যের নীচে শানিত অন্ধকারে প্রদীপ
জলন্ত অন্ধকার বিলোয়।
যুগাতিযুগ ধরে চলে সেই বিতরন।
পা যখন শক্ত হয়ে মাটি আঁকড়ে থাকে।
শিকড় পৌঁছে যায় অনেক গভীরে।
নাভিমুল জড়িয়ে ধরে প্রাণপনে আর
মেলে ধরে এক কুয়াশা ঘেরা গল্পের চাট।
নানা রকমারি লালারসে জারিত হয়ে ভেঙে যায়
বিভিন্ন শাখা প্রশাখায়।
এগিয়ে চলে প্রান্তর সমুদ্রের দিকে।
এ হেন অবস্থায় মহাকাব্যের চরিত্ররা রুপ নেয়
বিশালাকৃতি চরিত্রশৃঙ্খল।
আঙুলে জড়িয়ে থাকে ধুলোক্ষন।
                   ~~~~~~~~~~

Tuesday 17 April 2018

বাংলা ।।নবপর্যায়-৫৯০ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৩ । ১৭-০৪-২০১৮ । সৌমেন সরকার-এর কবিতা

সৌমেন সরকার



প্রথম আলাপ

                
মনে পড়ে আমাদের প্রথম আলাপ?
তুমি আর আমি ইছামতীর কূলে দুপুরবেলা
আঙুলে আঙুল ঠেকিয়ে
ভাঙা শীতের ভেজা রোদ মাখছিলাম।
তুমি তখন আঠার,পরনে সেই বাসন্তী শাড়ী
হাল্কা লিপস্টিক পরে হাসছিলে
আমি কিন্তু তোমার হৃদয়ের বন্ধ দুয়ার পড়েছিলাম


তাই বলেছিলাম ভালোবাসি।
তুমি শুধু মুখে হাত রেখে হেসেছিলে
আর আমি বুনেছিলাম রাংধনুর সাতরঙা স্বপ্ন হাজার


আজ তিরিশ বছর পর
আমি আবার এসেছি তোমার দুয়ারে
মনে কি পড়ে বনানী,তোমার শেষ শয্যা ভিজেছিল
আমার প্রথম আলাপের মধুর স্মৃতির বৃষ্টিতে!

Monday 16 April 2018

বাংলা ।। নবপর্যায়-৫৮৯ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা- ২ । ১৬-০৪-২০১৮ ।। সুদীপ্তা পাল-এর কবিতা

সুদীপ্তা পাল
ছাত্রী (তৃতীয় বর্ষ বি. এ) 
রানাঘাট,  নদিয়া


ফেরিওয়ালা

আমি কবিতার ফেরিওয়ালা
সারাদিন হেকে ডেকে একটাও
বিক্রি করতে পারলাম না
একলা দুপুরে তখন টিনের দোকানটায়
কেটলি থেকে ধোওয়া উঠছে।
একজন মোসাহেবি বাবু মুখ টিপে হাসলেন।
ভাবলাম,  তুমিই তো আমার কাব্যের নায়ক
একাদশীর রাতে উন্মাদিনী চাঁদকে
সব কবিতা যাপন করেছি
"আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে দিন ও রজনী...... "

Sunday 15 April 2018

বাংলা ।। নবপর্যায়-৫৮৮ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৫ ।। ১ম সংখ্যা । ১৫-০৪-২০১৮ ।।। গদ্য - ঢো ল কা ঠি বৃ ত্তা ন্ত । সুবীর সরকার

ঢো ল কা ঠি বৃ ত্তা ন্ত
সুবীর সরকার


‘আরো দিয়া যায় পীরীতির বায়না’...
১।
হাটের ভিতর দিয়ে হেঁটে আসতে আসতে ফাগুন চোতের রোদ হাওয়া অতিক্রম করতে করতে রতিকান্তকে কখন কিভাবে যেন মহামহিম এক হাটখন্ডই হয়ে উঠতে হয়! হাট থেকে হাটের দিকে যেতে যেতে সে তার ঢোল,ঢোলের কাঠি সমেত কত কত খেতপাথারবাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। অনুপ্রবেশের হালহকিকত থেকে নতুন ধানের চিড়া খইএর সুঘ্রাণ তাকে আমোদিত করলে রতিকান্ত ঈষৎ অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে কিন্তু মগজের কোষে কোষে গান ঘুম আর স্বপ্ন নিয়ে সে অনুপ্রবেশের চিরকালীনতাকে হাটগঞ্জের বাতাসেই যেন উড়িয়ে দিতে চায়।
জীবনের উজানে কি যাওয়া হয় মানুষের!জন্ম জন্ম ধরে জন্মান্তরের পাকে পাকে ভাটির দিকে এগিয়ে যাওয়াই যেন গাঁথা হয়ে যায়।রতিকান্ত বয়াতি ঢোল বাজাতে বাজাতে মাথাভরতি বাবড়ি চুল ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে কখন বুঝি চলেই যায় হাওড় বাওড় বাওকুমটা বাতাসের নৈরাজ্যের ভিতর। তার কাঠিঢোল নিয়ে সে জীবনভর যেতেই থাকে সোনাপুর মথুরা নিমতি তপসিখাতা বঞ্চুকুমারী দেওডাঙ্গা শালকুমারের হাটে হাটে। ধুলোর ঘূর্ণী তাকে ঢেকে ফেললেও সে কবেকার যেন বংশপরম্পরাসূত্রেই ভীষণভাবে ঢোল দোতরা আর নাচগান নিয়ে হাটের ভিতর চলে আসে;চলেই আসতে হয় তাকে। বুঝি রতিকান্ত বয়াতি ছাড়া,বয়াতির ঝাঁকড়া চুলের বাবড়ি বিনা হাট শেষাবধি কিছুতেই হাট হয়ে উঠতেই পারে না! রতিকান্তের গান,নাচের বিবিধ মুদ্রা,কাঠি ঢোল দীনদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে নদীজঙ্গলজনপদের ফাঁকে ফাঁকে অনবরত হাটখন্ডগুলি পাশ ফিরতেই থাকে।
৩।
ভাঙা হাটের হাটফিরতি মানুষের চোখেমুখে চলন বিচলনের ভিতর আকুলতা বিকুলতা থাকে বুঝি! তেমনভাবে রতিকান্তের কথা কেউ না জানলেও রতিকান্তের বয়াতি হয়ে ওঠার গল্পগাথাটুকরোগুলি হাটের পরতে পরতে আঠার মত আটকে থাকে। রতিকান্তর গুরু ঝাম্পুরা, কিংবা তারও গুরু নালচান সব যেন আইলে আইলে হাটতে থাকে। হোঁচট খায় আইল কাশিয়ার থোপে থোপে। সবজিহাটার পথে কুঁপির আলোয় চতুর শেয়ালের চোখের ভিতর আগিলা দিনের গান বাজে। বাজতেই থাকে। যেভাবে ঢোলের লোকজতা নিয়ে সর্বশরীরে বিষাদ মেখে নেয় রতিকান্ত বয়াতি। বাতাসের খুব নিকটে কান পাতলেই পাখিদের ডাক,পাতা খসে পড়া; আর সব ছাপিয়ে হু হু হাহাকার হয়ে বেজে ওঠা গান,
     ‘ও মুই কং তোমার আগে
     ও মোর কইতে শরম নাগে
     সগায় যাছে মেলা দেখিবার
     মোক না নিগান কেনে’


৪।
গান বলি নাচ বলি কালখণ্ড বলি সবেরই ভিতর যাপিত জীবনের প্রবহমানতা গল্পের পর গল্প জুড়ে যেন ঘাসের স্তূপ বেরিয়ে আসা বাঘেরা বুঝি জল খেতে চলে আসে দিনকাল ভুলতে বসা হাটবাজারের ভিতর! এতসব ঘটে,ঘটেই চলে; রতিকান্ত বয়াতির বিশ্বাসযোগ্য কোন বৃত্তান্ত রচিত হয় না। গান শুরু হয় নাচ শুরু হয়। বাদল মেঘের নিচে রতিকান্ত দাঁড়িয়ে থাকে। রতিকান্তর কোন বৃত্তান্ত রচিত হয় না। বরং রতিকান্তই নতুন নতুন সব বৃত্তান্তের জন্ম দিতে থাকে জলহাওয়াজনপদের ভিতর।







Thursday 15 February 2018

বাংলা

বন্ধুরা ।। 
বাংলা ১৫ এপ্রিল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হবে ।
।। আনন্দ ।।  

1a

আজকের কবিতা  সোনালি মাছের চোখ অপাংশু দেবনাথ ------------------------ বাজার  ফেরৎ আমি,পুনশ্চ  ঢুকে পড়ি বাজারে।             ...