Wednesday 15 August 2018

1a


আজকের কবিতা 


সোনালি মাছের চোখ

অপাংশু দেবনাথ
------------------------
বাজার  ফেরৎ আমি,পুনশ্চ  ঢুকে পড়ি বাজারে।
                                 এখানে সবুজ সব।
মাথার কাছে অরণ্য রাখি বিশ্বস্ত বিনয়ে।
ভিড় কমে এলে কিছু পণ্য 
       পড়ে থাকে ফুটপাথে,
তখন কি মনে পড়ে ঘুমোবার আগে।

জলতলে একা জেগে থাকে
                         সোনালি মাছের চোখ
তুমি পাটকাঠি বেঁধে ফেলো সুতোছিপ।
জলে ভেসে উঠে চাঁদ,
             নক্ষত্রমন্ডল।

এই বাজার থেকে আমার,ঘরে ফেরা হয়ে উঠে কই! 
                                         নক্ষত্রমন্ডল ডুবে গেলে 
জলে পাঠকাঠি নড়ে উঠে
সবুজ হয়ে উঠে তোমার ছিপ,সুতোজল।
                    আমি সেই মৎসবালক নই


দাড়িপাল্লার পেন্ডুলাম ও-ছায়া পড়ে বুকের উপর।

Monday 30 April 2018

কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

কৃষ্ণেন্দু দাসঠাকুর

k.dasthakur88@gmail.com

গ্রাম+পোঃ- কান্দরা
জেলা- পূর্ব বর্ধমান
সূচক:৭১৩১২৯
প্রয়োজনে:৯২৩২৮৩০৭৭৬


অস্তিত্বের মাটি

বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত পাড়ি দিচ্ছে
            মঙ্গল গ্রহে কিংবা চাঁদে
            প্রাণের অস্তিত্ব সন্ধানে
শুনছি না কি পৃথিবীর আয়ু ---
ক্রমশ কমছে
আমাদের না কি পৃথিবীর বাইরে
অন্য কোন জায়গা খুঁজতে হবে
কাগজে বেশ মুখোরোচক---
নিরাপদ আশ্রয়:চাঁদে জমি বিক্রি
হঠাৎ চোখটা আটকে গেল
পাশেই লেখা --
পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী গৃহ শিক্ষক দ্বারা
ধর্ষিত:অবস্থার অবনতি স্থানান্তর
                         কাগজটা রাখলাম
                 চোখটা ঝাপসা হয়ে এল
একটা ছোট্ট মেয়ে আমার আঙুলটাকে
ধরে নাড়া দিচ্ছে আর বলছে:
"কাকু কাকু আমার জন্য চাঁদে জায়গা
কেনা হবে?"

                  
জলছাপ

ঝুলগুলো ক্রমশ বুকের মধ্যে চেপে বসছে।লিপস্টিকের দাগটা এখনো-- দগদগে  ঘায়ের মতো, দেয়াল জুড়ে নিলজ্জতার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। ইতস্তত বেশ কিছু ধর্ষণের চিহ্ন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আলমারীর বন্ধ লকারে বেশ কিছু ভাঙা চুড়ি,ছেঁড়া ওড়না রাখা।তিলচিটে বালিশ,
তুলো বের হওয়া লালচে তোশকটা তীব্র বিদ্রপে... বাইরে থেকে শেকল তুলে দেশলাই ঘষা হল,ঘরের কোণে আমি---বসে।সেদিন একছাদ বৃষ্টি হল,পেতলের ঘটিটা নিয়ে আমি সিঁড়ি ভাঙছি...
                 

Tuesday 24 April 2018

জ্যোতির্ময় রায়



জ্যোতির্ময় রায় 
গ্রাম :লোহাগঞ্জ 
পোস্ট:কাঁটাবাড়ি 
জেলা:দঃ দিনাজপুর
পিন:733124 

ফোন:7365086640 



#ম্যাগনেটিক ফিভার 

©জ্যোতির্ময় রায় 


    পারদ ছুঁয়েছে ঠোঁট ।
  ফসফরাস জ্বলে উঠে 8.9 রিখটার।
    শিশির ছুঁয়ে এক হেমন্তের সকাল 
    ঝালমুড়ির বিকেল তখন অভ্যাসগত ।
   "ফারাক বিস্তর ,যৌনতার নতিতে " 
কিংবা স্বপ্ন বিক্রি সস্তায় । ইচ্ছে পালক ।
স্বা ধী ন তা ।দত্তকি প্রেম কিনেছে 
     ম হা দে শ ।।
       



#ডেল্টা এক্স 


 ©জ্যোতির্ময় রায় 



0/১ =(₹) 
          প্রশ্ন চিন্হ নেই ।
  এন্ড ক ন টি নি উ স ।




#চোখ এর জানালায় 

©জ্যোতির্ময় রায় 


আজকাল আমিও অনেক বানিয়ে বলি কথা ,
চোখের ভিতর চোখে জল জমেছে ,বৃষ্টি হয়না ।।


ঘুম কিনছে রাত্রি ,উপোসি একাদশী ,
হয়তো তোকে নিয়েই ভাবাটা বাড়াবাড়ি একটু বেশি ।।


এভাবেই হয়তো রাতের মাঝে আমিও হারাবো ঠিক ,
জঠরে কথার যন্ত্রণা ,জমুক তবে ,দেশলাই সেও জ্বালিয়ে নিক ।।

একদিন আমিও কথার মাঝে ফুরাবো কোনো গল্পে ,
চোখের তারায় আলোআধারী'ই থাক আমার দেওয়ালে ।।


দেশ ছেড়েছি ,পায়ের তলায় নেই মাটি 
একখানা আস্ত আকাশ চশমায় এঁটে এখন হাঁটি ।।


Monday 23 April 2018

বাংংলা ৷ দেবযানী বসুর কবিতা

basu.debjani09@gmail.com

আমলকি লক এন কি / দেবযানী বসু

বৃষ্টিজ্বর। অনুকাব্য বাজে একতারায়।কিচাই কিপাই কিনা হাওয়া। নখে একফালি বারান্দার আনন্দ। আ পূর্বক গীতি। ক্রিয়াপদ সাজিয়েছি। জন্মায় অন‍্যকিছু হওয়া। কাঁচের নলে রাসায়নিক প্রেম।
দাঁতে নখ খোঁটা। বাঁকা উলকাঁটায় বোনা শীতের অপরাধ। উলকাঁটায় লাগা আক্ষেপ ঝাড়ফুঁক করি। ব্রোকোলির বাজার রাউন্ড। ঢালাও সিএনজিঘটিত চুম্বন। চুমুর অজ্ঞাতবাস। আমলকিদের মাঠলেগ‍্যাসি।
বুকখোলা মাঠ। লেন্স ফাটানো বরফ। দু খোলা খইফোটা শান্তি। নানচাকঘোরানো শান্তি। ১২৩৪৫৬৭৮ সূর্যপ্রণাম ৮৭৬৫৪৩২১। স্বাহা স্বাহা। আইঅ‍্যামাডিস্কোডান্সার।
অকাতর প্রেম। ম‍্যামথকবিতা। পদধ্বনি অরণ্য ফেরায়। তন্দুরি রোদ্দুর। রোদবোধ গুলোচ্ছি না একটুও। সহজ স্পর্শ । জ্বর ও ঘাম মাপি ঘর্মমিটারে। সব অভিমান মনজংশনে। পালক বিনিময়ে বাঁচি।
আমাদের মিছিলে ডিম ডিম মুখ। স্তুতিভরা ডিমের মাছ। সর্ষেরাগান্বিত যৌনতা। এপিঠ ওপিঠ বৈদ‍্যুতিক কম্বলে সেঁকি। হমদম। হৃদয়ম।

Sunday 22 April 2018

বাংংলা ৷ ২২-০৪-২০১৮ ৷ দেবার্ঘ সেন-এর কবিতা

দেবার্ঘ সেন
জন্মতারিখ- ১৫/০৯/১৯৯০
জন্মস্থান- শেওড়াফুলি, জেলা- হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ।
ইমেল- debargha90win@gmail.com


(১)

একটি ঘোষণা

যদি কাল বলে কিছু না থাকতো
তবে মৃত্যুভয় থাকতো না।
তবে বাঁচার সচেতনতা থাকতো না...

থাকতো না খিদে।
থাকতো না, কথা বলার ইচ্ছেটুকুও।

কাল আছে  বলেই বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি
জুগিয়ে যায় মন ;
কাল আছে বলেই
ভরসা জন্ম নিয়েছে মা'য়ের কোলে।

কাল আছে বলেই ভয় পেয়েছে
সমগ্র জাতি।
কাল আছে বলেই গবেষক অক্লান্ত পরিশ্রমকে
প্রেম আখ্যায় করেছেন ভূষিত।


যে অর্থে তুমি উচ্চস্বরে দাবী করেছো
কাল নেই বলে...
সেটাও কিন্তু কাল আছে বুঝতে পেরেছো বলেই।

আর বুঝতে পারা থেকেই তো উঠে আসে
স্বীকার বা অস্বীকার বোধ। 

(২)

স্ক্যান

আমার বুকে প্লাস্টিকের প্যাকেট এসে
জড়ো হচ্ছে নর্দমার মত।

নিষ্কাশন সূত্র আবিষ্কৃত ;
কিন্তু প্রয়োগ করার স্বাধীণতা নেই।

তাই,
গলা দিয়ে স্বর না উঠে আসা বক্ষে
ব্যবসা করার আগে -

নিদেনপক্ষে, একবার তো...
রেটিনা স্ক্যান হোক্।
(৩)

আক্ষেপ

আক্ষেপ প্রকার বলে কিছু নেই,
আসলে সবটাই আক্ষেপ।

যখন তুমি এক জিবি নেট ব্যালন্স পেয়ে দিনের শেষে দেখো
মাত্র একশ এমবি ব্যবহার করেছো, তখন আক্ষেপ হয় বাকিটা ব্যবহার করতে না পারার।
আবার যখন দিনের মাঝামাঝি সময় এসে দ্যাখো
মাত্র একশ এমবি পড়ে আছে
তখনও আক্ষেপ হয় এটা ভেবে যে
বাকী দিনটা কিভাবে চলবে।

আসলে সবটাই আক্ষেপ। 

(৪)

সংশোধন সূত্র

এসো,
তুমিও সেই ভুলটাই করো
আমিও যে ভুলটা করলাম।

তারপর দুজন দুজনের ওপর রাগ না করে
যে যার নিজের ওপর রাগ করি।

খুঁজে নি অনুশোচনার বই পড়ে
সংশোধন সূত্র।

সেই সূত্রও যদি অকৃতকার্য হয়,
তবে জেনে রেখো ;
আমরা কোনওদিনও একে অপরকে
এতটুকুও ভালোবাসতে পারিনি।

কেবলই ছু্ঁতো খুঁজেছি
ফাঁকা ঘরের। 




Saturday 21 April 2018

বাংলা ।।নবপর্যায়-৫৯৪ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৭ । ২১-০৪-২০১৮ । শ্যামাপদ মালাকার-এর কবিতা


শ্যামাপদ মালাকার
গ্রা:- চন্দনপুর
পো:- জোড়দা
থানা:- ইন্দপুর
জেলা:- বাঁকুড়া।


চোখ

অন্নপ্রাশনেরর স্বর্ণপিঁড়িটা আজও আছে।
কি নেই আমার-- নদী - অরণ্য - রাতের ফালি চাঁদ, সবেই তো আমার!
সেদিন শুকতারাটার গা মাপতে গিয়ে মনে হল-
'ওরা' কি আমার চেয়েও সুখী?
দেখিনা একবার- মাটিতে গাইতি শাবল চালিয়ে--
চালালাম! জল - মাটি ভেজা একটা চোখ কুড়িয়ে ফিরলাম।
সেই চোখ দিয়ে দেখি--
শেষ বিকেলের নিরন্নআঁচে ঝলসানো বুক নিয়ে নীড়ে ফিরছে- ধূলিমাখা কত কাল পা! - - কি শান্তি! কি তৃষ্ণা!।
পাতাক্ষোয়া ক'টা কোদালের মাথায়, ঝরে পড়া ললাটের ঘামে
কারা যেন জীবন শাণ দেয়- -
রুক্ষঠোঁটের আবরণে এক সময় ঝরে পড়ে শিশিরস্নাত কাল নিশি- - মাঝের ব্যবধান মুছে দেয় প্রতিশ্রুতির ভিড়- -
পূর্বজনমের চেনা নিদর্শনচুম্বন শেষে-
হেরে যায় কার 'মমতাজ' - ম্লান হয়ে কত পিঁড়ি!- - চোখটা কার!!।

Friday 20 April 2018

বাংলা ।।নবপর্যায়-৫৯৩ । অষ্টম বর্ষ । সংখ্যা-৬ । ২০-০৪-২০১৮ । রমলা মুখার্জী র কবিতা

ডঃ রমলা মুখার্জী 
বৈঁচী, বিবেকানন্দ পল্লী, হুগলি ৭১২১৩৪

রমলা মুখার্জী র কবিতা 


কবিতা.. উত্তাপ 
তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে
আমার সব সুখ আবর্তিত হয় ।
আমি পেরিয়ে যাই শ্মশান...
পেরিয়ে যাই মরুঝড়, তুষার...
বিন্দু বিন্দু খুশির পরিধি বেয়ে
উছলে পড়ে আলো,
চুঁইয়ে পড়ে ভালোবাসা ।
চঞ্চলিত হৃদয়ে হাজার ময়ূর নৃত্যরতা....
তোমার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত
অবিরত জ্যোৎস্না ঝরায় চারিপাশে....
তোমার চোখে চোখ রেখে আমি যে
অতল জলের আহ্বান শুনি গো ।
তোমায় অনুক্ষণ পাশে রেখে
আমি মুগ্ধ হতে চাই, পূর্ণ হতে চাই ।
তোমার শরীরের ঘ্রাণে আমি মাতাল হতে চাই....
এসো, প্রেমের প্রদীপ জ্বালিয়ে
দুজনে ‌ উত্তাপ নিই সারাজীবন ।
...................................

1a

আজকের কবিতা  সোনালি মাছের চোখ অপাংশু দেবনাথ ------------------------ বাজার  ফেরৎ আমি,পুনশ্চ  ঢুকে পড়ি বাজারে।             ...